ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আমার বাবার সব স্বপ্ন ফ্যাসিস্ট হাসিনার পুলিশের গুলিতে মুহূর্তেই শ্যাষ কইরা দিছে

  • প্রকাশের তারিখ : 15-এপ্রিল-2025 ইং
শহীদ রাব্বির দাফন সম্পন্ন ছবির ক্যাপশন: শহীদ রাব্বির দাফন সম্পন্ন

রাব্বির ইচ্ছা ছিলো সনামধন্য হাফেজ হওয়া, সেই আশা আর পূরণ হয় নাই, আমার বাবার সব স্বপ্ন ফ্যাসিস্ট হাসিনার পুলিশের গুলিতে মুহূর্তেই শ্যাষ কইরা দিছে।’ কথাগুলো বলছিলেন ১৯ জুুলাই মিরপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত শহিদ হাফেজ রাব্বির (১৪) বাবা জুয়েল মাতব্বর। সোমবার সকালে গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে ২০ জুলাই ঢাকা মিরপুর সরকারি শিশু কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল, পরে আদালতে আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দ্বিতীয়বার গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন করা হয়, এ জানাজায় কয়েক শ মানুষ অংশ নেয়।

রাবিবর বাবা জুয়েল মাতব্বর জানান, ১৯ জুলাই শক্রবার বিকেলে মিরপুর ১৩ এর ৯ নম্বর রোড এলাকায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদত্যাগের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন চলছিল সেই মিছিলে রাব্বি যায়, ওই মিছিল ঠেকাতে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পুলিশ বাহিনী মিছিলের ওপর এলোপাথারি গুলি চালায়। এতে আমার কলিজার টুকরা হাফেজ রাব্বির পেটে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই রাব্বি মারা যায়। এর পর তরিঘরি করে রাব্বিকে মিরপুর সরকারি শিশু গোরস্থানে দাফন করা হয়। তখন আমি যে বাড়িতে থাকতাম সে বাড়ির মালিক ছিলো ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর। তাই ভয়ে আমরা কোন কথা বলিনি। তিনি আরো বলেন, এছাড়া সরকারি কবরস্থানে কয়েকদিন পর আর কবরের চিহ্ন পাওয়া যাবে না। তাই আদালতের নির্দেশে আমার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক গোরস্থানে দ্বিতীয়বার রাব্বির দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আশাদুর রহমান বলেন, রাব্বির লাশ ঢাকার মিরপুর থেকে উত্তোলণ করার পরই আমাদের থানায় অবহিত করে, এর পর লাশ দাফন সম্পন্ন করা পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণে ছিলাম। 

এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাসিম রেজা বলেন, অফিসিয়ালভাবে অবহিত না থাকলেও আমরা বিষয়টি অবহিত ছিলাম।

ad728
কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য
জনতা এক্সপ্রেস ডেস্ক

জনতা এক্সপ্রেস ডেস্ক